• ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, সোমবার ০২ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Corona Infection

বিদেশ

চিনে ফের লকডাউনে বন্দি দেড় কোটিরও বেশি বাসিন্দা

কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না করোনা। তবে তুলনামূলকভাবে বিশ্বজুড়েই করোনার প্রকোপ এখন অনেকটাই কম। তবে স্বস্তি নেই চিনের বাসিন্দাদের। সেখানে ফের একবার করোনা সংক্রমণ শুরু হতেই, প্রশাসনের তরফে লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহেই চিনের চাংচুন শহরে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। এবার লকডাউন ঘোষণা করা হল হাইটেক শহর শেনজেন-এও। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিগত দুই বছরে সবথেকে ভয়ঙ্করভাবে এবারই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ রুখতেই তাই একের পর এক শহরে লকডাউন জারি করা হচ্ছে।করোনা সংক্রমণের উৎপত্তি হয়েছিল চিন থেকেই। তাই ভাইরাসের ভয়াবহতা কতটা হতে পারে, তার আন্দাজ ভালভাবেই রয়েছে চিনের। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর প্রথম মাস হিমশিম খেলেও, হাল সামলিয়ে নেয় প্রশাসন। এক সপ্তাহের মধ্যেই তৈরি করে দেওয়া হয় হাসপাতাল। সেই সময়ই তৈরি করা হয় জিরো কোভিড নীতি। শহরে ৫-১০ জন করোনা আক্রান্ত হলেও, গোটা শহরেই লকডাউন জারি করে দেওয়া হয়।দেড় কোটিরও বেশি বাসিন্দার শেনজ়েন শহরে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে। সেখানে সমস্ত গ্রামের সীমানা আটকে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাস, মেট্রো। রবিবারই চিনা সংবাদপত্রে জানানো হয়েছে যে সোমবার থেকে সমস্ত গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, শহরের সমস্ত বাসিন্দারাই যেন বাড়ি থেকে কাজ করেন এবং অত্যাবশ্যকীয় কোনও পণ্য কেনার জন্যই বাড়ি থেকে বের হন। বাইরে থেকে যারা শেনজ়েনে আসছেন, তাদের সকলকেই নেগেটিভ নিউক্লেইক অ্যাসিড রিপোর্ট জমা দিতে হবে। রিপোর্ট ২৪ ঘণ্টার বেশি পুরনো হতে পারবে না। এছাড়া নতুন সপ্তাহেই শহরজুড়ে ফের তিন দফায় করোনা পরীক্ষা করানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।

মার্চ ১৪, ২০২২
কলকাতা

উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে অভিজাত আবাসনগুলিই, স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট পেশ নবান্নে

শহরের বড় আবাসনগুলিতেই বেশি করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এ নিয়ে একটি রিপোর্টও জমা পড়েছে নবান্নে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে আরবানা, স্বর্ণমণি, শালবনি, এবং নিউটাউনের একাধিক আবাসনেও করোনা সংক্রমণের প্রকোপ বেশি। এই সব আবাসনে করোনা সংক্রমণ কীভাবে ঠেকানো যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও নবান্নের কর্তাব্যক্তিরা। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তের নবান্নের চিন্তার কারণ কোনও বস্তি এলাকা নয়, বড় বড় আবাসনও। কারণ সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই গিয়ে দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না আবাসিকরা। অরক্ষিত মুখের ভিড় সর্বত্র। কলকাতা পুরসভা ও নিউটাউনের ক্ষেত্রে হাউজিং ডিপার্টমেন্টে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে সংক্রমণ ঠেকানোর পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে।স্বাস্থ্য অধিকর্তারা বলছেন, আবাসনগুলিতেই সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। এই মুহূর্তে আবাসনগুলিই উৎকন্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের। এরই মধ্যে নবান্নে একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে। আবাসনগুলিতে সংক্রমণ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। নিউটাউনের আবাসনগুলির ক্ষেত্রে ফোরাম ও কমিটিগুলিকে নিয়ে একটি বৈঠক করার কথা ভাবা হচ্ছে। করোনার স্বাস্থ্যবিধি যাতে তাঁরা মেনে চলেন, সে ব্যাপারে সতর্ক করা হবে তাঁদের।কমিটিগুলিকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঝুপড়ি অঞ্চল ঘিঞ্জি, উল্টোদিকে আবাসনগুলো অনেকটাই খোলামেলা। তা সত্ত্বেও কেন আবাসনগুলিতে হু হু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ? অভিজাত আবাসনগুলিতে করোনা ছড়ানোর অন্যতম কারণ, বর্ষবরণের উৎসব-পার্টি-হুল্লোড়, আর লিফটের বহুল ব্যবহার।

জানুয়ারি ১২, ২০২২
রাজ্য

Kamarpukur Math: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল কামারপুকুর মঠ

ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণের দরুণ অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল কামারপুকুর মঠ ও মিশন। পুণ্যার্থীদের প্রবেশ বন্ধের নোটিস জারি করেছে মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ। আজ থেকেই এই নোটিস কার্যকর হচ্ছে। মঠের এই বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে পরিস্থিতি অনুকূল হলে দর্শনের দিন জানানো হবে। যত দিন না পর্যন্ত পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আসছে ততদিন পর্যন্ত মঠ বন্ধই থাকছে।উল্লেখ্য যে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় গত ২৪ জুলাই থেকে মঠ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফের গুরুপূর্ণিমার জন্য একদিন খুলে দেওয়া হয়েছিল মঠ। পরে ১৯ অগষ্ট থেকে ফের মঠের দরজা খুলে দেওয়া হয়। আবার সোমবার নতুন করে বন্ধ করে দেওয়া হল মঠ।উল্লেখ্য নতুন বছরের শুরুতে ভক্তদের ভিড় বেশি হতে পারে, সেকথা মাথায় রেখে ১-৪ জানুয়ারি বন্ধ ছিল বেলুড় মঠ। কথা ছিল ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং বিকেল ৩-৫ টা পর্যন্ত ফের নিয়ম মেনে খুলবে বেলুড় মঠ। তবে তার আগে গত ২ জানুয়ারি বেলুড় মঠ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মঠ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত। কালীঘাট মন্দির কর্তৃপক্ষও সংক্রমণ রুখতে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মন্দির বন্ধ থাকছে না। দেবী দর্শনেও বাধা নেই। কিন্তু ভিতরে ঢুকে পুজো দেওয়া কিংবা গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারবেন না কেউ। বাইরে থেকেই দর্শন সেরে ফেলতে হবে।

জানুয়ারি ১০, ২০২২
দেশ

Covid: দেশে এক লক্ষের গণ্ডি পেরলো দৈনিক করোনা সংক্রমণ

কেবল রাজ্যে নয়, দেশেও হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। একলাফে দেশে বাড়ল করোনা গ্রাফ। দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৭ হাজার ১০০ জন। একলাফে দেশে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছে ২৮.০২ শতাংশ। পিছিয়ে নেই রাজ্যও। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৪২১, বুধবার যে সংখ্যাটা ছিল ১৪ হাজার ২২। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। বুধবারের তুলনায় পজিটিভিটি রেট বেড়েছে কিছুটা। বুধবার যে হার ছিল ২৩.১৭ শতাংশ, বৃহস্পতিবার সেটাই বেড়ে হয়েছে ২৪.৭১ শতাংশ। পাশাপাশি বাড়ছে ওমিক্রন আতঙ্কও। একদিনে দেশে ওমিক্রন আক্রান্ত ৩ হাজার ৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩০২ জনের।শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের করোনা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ১,১৭,১০০ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় ২৮.৮ শতাংশ বেশি। এর আগে গত বছরের জুন মাসে দৈনিক এক লক্ষ আক্রান্ত হওয়ার গন্ডি পার করেছিল ভারত। শুক্রবারের নতুন করোনা আক্রান্তের হিসেব বলছে, দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩,৫২,২৬,৩৮৬।সব থেকে বেশি আক্রান্ত পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রে গত একদিনে মোট ৩৬,২৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫,৪২১ জন। পশ্চিমবঙ্গের পরে আক্রান্ত হওয়ার নিরিখে রয়েছে যথাক্রমে দিল্লি (১৫,০৯৭), তামিলনাড়ু (৬,৯৮৩) এবং কর্ণাটক (৫,০৩১)।একই সঙ্গে দেশে হু-হু করে বাড়ছে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে বর্তমানে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩,০০৭ জন। তবে তাঁদের মধ্যে ১,১৯৯ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ওমিক্রন আক্রান্তের দিক থেকেও শীর্ষে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রে মোট ৮৭৬ জন করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরেই রয়েছে দিল্লি। দিল্লিতে মোট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৫।

জানুয়ারি ০৭, ২০২২
রাজ্য

Corona: রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড, উদ্বেগ বাড়িয়ে আক্রান্তের সংখ্যা পার করল ৯০০০

একদিকে যখন বাংলার চিকিৎসকেরা তৃতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছেন, তখন বাংলায় বড়সড় লাফ দিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণ একধাক্কায় বেড়ে ৯ হাজার পেরিয়ে গেল মঙ্গলবার। শুধুমাত্র কলকাতাতেই নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার ছুঁইছুঁই। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। কলকাতাতেই মৃতের সংখ্যা ৫।সোমবার স্বাস্থ্য দপ্তরের যে বুলেটিন প্রকাশ হয়, তাতে দেখা গিয়েছিল দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ৬ হাজারের কিছু বেশি। সাধারণত রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় টেস্ট তুলনামূলকভাবে কম হয়। সম্ভবত সেই কারণেই শনিবার ও রবিবার আক্রান্তের সংখ্যায় খুব বেশি হেরফের হয়নি বলেই অনুমান করা হয়। আর মঙ্গলবার একলাফে সেই সংক্রমণ বাড়ল অনেকটাই। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, সাধারণ মানুষের সতর্কতার অভাবেই এই পরিস্থিতি। তারপরও অসতর্কতার ছবি দেখা যাচ্ছে বাসে-ট্রেনে সর্বত্র। তবে মঙ্গলবারের করোনার গ্রাফ বুঝিয়ে দিচ্ছে, এবার সত্যিই আরও বেশি সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।আরও পড়ুনঃ করোনাকালে বাড়ি বাড়ি খাবার পাঠাবে রাজ্য গত সপ্তাহের মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৯১০। এক সপ্তাহে তা বাড়ল ১,১৪৬ শতাংশ। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর প্রকাশিত বুলেটিন জানাচ্ছে মঙ্গলবার রাজধানী শহরে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা ৪,৭৫৯। প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় গত ৩ মে কলকাতায় দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছেছিল ৩,৯৯০-এ। তৃতীয় ঢেউয়ের অষ্টম দিনেই সেই রেকর্ড ভেঙে গেল।

জানুয়ারি ০৪, ২০২২
রাজ্য

Corona: রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় আবার ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ

চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের তরফে ক্রমাগত সতর্কবাণী সত্ত্বেও ভোটপুজো থেকে বড়দিন বিধি ভাঙার কোনও সুযোগই ছাড়েনি জনতার একটি বড় অংশ। ফল-ও মিলছে, যেমন মিলেছিল দুর্গাপুজো থেকে জগদ্ধাত্রী পুজো পর্যন্ত মহোৎসবে লাগামছাড়া মাতনের পরে। গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে দৈনিক করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৫০০-র ঘরে ঘোরাফেরা করলেও মঙ্গলবার রাতে স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে কার্যত দ্বিগুণ হয়েছে। সংখ্যাটি এক ধাক্কায় পৌঁছে গিয়েছে ৭০০-র ঘরে।২ দিন পরেই বর্ষবরণ। বর্ষশেষের নিশিযাপন আর ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনটি উদ্যাপনের তাগিদে কলকাতা ৩১ ডিসেম্বরের রাত থেকে শৃঙ্খলা ভেঙে, অতিমারি বিধি উড়িয়ে ওমিক্রনকে স্বাগত জানাতে হামলে পড়বে কি না, তা নিয়েও মহা উদ্বেগে আছেন চিকিৎসকেরা।ওমিক্রন পশ্চিমবঙ্গ-সহ সারা দেশে থাবা বসাতে থাকায় বার বার বিধি মানার কথা বলে স্বাস্থ্য শিবির মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বছর শেষের উৎসবে প্রশাসন রাশ আলগা করার কারণেই এক শ্রেণির মানুষের বেপরোয়া আচরণের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে মানুষের আত্মিক সচেতনতা ও বোধের উপরেই ভরসা রাখতে চাইছেন চিকিৎসকদের একাংশ। নতুন বছরের আনন্দ ষোলো আনা অনুভব-উপভোগ করেও পথে নেমে ভিড় করে উচ্ছ্বাস প্রকাশে লাগাম টানারই আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা।স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন পাঁচ জন। আর কারও খোঁজ মেলেনি, যাঁকে ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা যায়। ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবকের আজ, বুধবার পুনরায় কোভিড পরীক্ষা করা হবে। সেই পরীক্ষার রিপোর্টও যদি নেগেটিভ আসে, তা হলে তাঁকে ছুটি দেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
দেশ

Corona Update: দৈনিক সংক্রমণের হার নিম্নগামী, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু আরও ২৯০ জনের

ভারতে ফের কিছুটা কমে গেল দৈনিক করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা, বিগত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ হাজার ৬১৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ২৯০ জনের, আগের দিনের তুলনায় কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা। শুক্রবার সারাদিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন ২৮,০৪৬ জন, ফলে ভারতে এই মুহূর্তে মোট সুস্থতার হার ৯৭.৭৮ শতাংশ, ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর সর্বোচ্চ সুস্থতার হার। ভারতে এই মুহূর্তে মোট চিকিৎসাধীন করোনা-রোগীর সংখ্যা ৩,০১,৪৪২ জন, বিগত ২৪ ঘন্টায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১,২৮০ জন। বিগত ২৪ ঘন্টায় দেশে কোভিড টেস্টের সংখ্যা ১৫,৯২,৪২১।আরও পড়ুনঃ ডিসি সাউথের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রিয়াঙ্কারকেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘন্টায় ভারতে নতুন করে ২৯,৬১৬ জন সংক্রমিত হওয়ার পর দেশে মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ২৪ হাজার ৪১৯ জন। এই মুহূর্তে শতাংশের নিরিখে ০.৯০ শতাংশ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভারতে ৮৪.৮৯-কোটির গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল কোভিড-টিকাকরণ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত মোট ৮৪ কোটি ৮৯ লক্ষ ২৯ হাজার ১৬০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। বিগত ২৪ ঘন্টায় টিকা দেওয়া হয়েছে ৭১ লক্ষ ০৪ হাজার ০৫১ জনকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘন্টায় ২৯০ জনের মৃত্যুর পর ভারতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪,৪৬,৬৫৮ জন (১.৩৩ শতাংশ)।ভারতে আরোগ্যের সংখ্যা আরও বাড়ল, শুক্রবার সারা দিনে ভারতে করোনা-মুক্ত হয়েছেন ২৮,০৪৬ জন। ফলে শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে মোট সুস্থ হয়েছেন ৩,২৮,৭৬,৩১৯ জন করোনা-রোগী, শতাংশের নিরিখে ৯৭.৭৮ শতাংশ। কেরলের করোনা-পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরেই, বিগত ২৪ ঘন্টায় কেরলে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭,৯৮৩ জন। এই সময়ে দক্ষিণী রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
দেশ

Corona: ফের বাড়ছে সংক্রমণ, চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরল

দেশে এক লাফে অনেকটা বাড়ল সংক্রমণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ৯২ জন। এই সংখ্যা গত দুমাসে সর্বোচ্চ। ১ জুলাই আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮ হাজার ছাড়িয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ২৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯৩৭ জন।করোনা মুক্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ১৮১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫০৯ জনের।দেশের বর্তমানে মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে কেরল। গতকাল কেরলে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৮০৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৭৩ জনের। তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৮ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯৩৭ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫২৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ২০ লক্ষ ২৮ হাজার ৮২৫ জন।এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকা নিয়েছেন ৬৬ কোটি ৩০ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় টিকা নিয়েছেন ৮১ লক্ষ ৯ হাজার ২৪৪ জন।আরও পড়ুনঃ একযোগে বিষপান লায়লা-মজনু কাকিমা-ভাইপোর, মৃত এক, অন্যজন সংকটজনক গোটা অতিমারি পর্বে দেশে মোট প্রাণ গেল ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫২৯ জনের। অগস্টের মাঝামাঝিতে যখন সংক্রমণে কিছুটা হলেও কম ছিল, তখন সক্রিয় রোগী কমে সাড়ে তিন লক্ষের নীচে নেমেছিল। গত কয়েক দিন ধরে তা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে ১১ হাজার ৪০২। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৮৩ জন।কেরলে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৩২ হাজার ৮০৩। মহারাষ্ট্রে সাড়ে চার হাজারের আশপাশেই থাকছে দৈনিক সংক্রমণ। তামিলনাড়ুতে দেড় হাজারের আশপাশে। কর্নাটক এবং অন্ধ্রপ্রদেশে অনেকদিন ধরেই ১২০০-র নীচে থাকছে আক্রান্তের সংখ্যা। ওডিশা এবং পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক সংক্রমণ ৬০০ থেকে ৭০০-র ঘরে ওঠানামা করছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের বাকি রাজ্যগুলিতে আগের থেকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও মিজোরামের পরিস্থিতির ভয়ঙ্কর অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাডার ৯৯২ জন।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
দেশ

Corona Update: দেশে ফের ৮০ হাজারের গণ্ডি পেরোল করোনা সংক্রমণ

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ফের বৃদ্ধি পেল করোনা দাপট। একদিনে দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৯৬৫ জন। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৬০ জনের। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ২৮ লক্ষ ১০ হাজার ৮৪৫। এর মধ্যে শুধু কেরলেই একদিনে ১৯ হাজার ৬২২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ওই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৩২ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ২০ জনের। মঙ্গলবার অনেকটাই কমেছিল করোনার প্রকোপ। করোনা আক্রান্ত হয়েছিল ৩০ হাজার ৯৪১ জন। মৃত্যু হয়েছিল ৩৫০ জনের। করোনা খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক আকার নিয়েছে দক্ষিণের রাজ্য কেরলে। করোনা বিপদ বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্রেও। আরও পড়ুনঃ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণের জন্য ব্যাঙ্ক বাড়ির দলিল বন্ধক রাখতে বলায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ ছাত্রমহারাষ্ট্র এবং কেরল কেবল এই দুটি রাজ্যেই দৈনিক মৃতের সংখ্যা শতাধিক। কেরলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ১৯ হাজারের বেশি মহারাষ্ট্রে ৫৪ হাজার ৭৬৩টি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা বেশি হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। প্রায় ৩৫.৬ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধি হয়েছে বুধবার।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
স্বাস্থ্য

Corona Update: উদ্বেগ বাড়িয়ে ডেল্টার প্রভাবে ফের বাড়ছে সংক্রমণ

রাজ্যে ফের বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দপ্তর প্রকাশিত শনিবারের বুলেটিনে নতুন করে রাজ্যে ৭৬৯ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। উদ্বেগ বাড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা ও উত্তরবঙ্গের সংক্রমণের হারও। কলকাতাতেও গত দুদিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে সংক্রমণ। জেলায় করোনা সংক্রমণের দিকে নজর করলে বোঝা যাবে, রাজ্যের কয়েকটি অংশে সিংহ ভাগ আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পঙ ও জলপাইগুড়ি মিলিয়ে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ২০৬। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দৈনিক আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে দার্জিলিঙে (৬৫), তার পরেই রয়েছে জলপাইগুড়ি (৬১)। আরও পড়ুনঃ অনুমতি ছাড়াই ম্যারাথনে দৌঁড়লেন দিলীপ-সৌমিত্ররাদক্ষিণবঙ্গে এখনও উদ্বেগের কারণ হয়ে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। শেষ ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯, যা রাজ্যেও সর্বোচ্চ। জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে ব্যারাকপুর কমিশনারেট ও বারাসত পুর এলাকায় একাধিক কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, ভারতে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও ফের বাড়ল সংক্রমণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রবিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার ৮৩১। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫৮ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৫১ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ১৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ৮২৪। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪ লক্ষ ১০ হাজার ৯৫২। করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৮ লক্ষ ২০ হাজার ৫২১ জন।এই মুহূর্তে ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা নিচ্ছে ডেল্টা রূপ। ডেল্টার হাত ধরেই ভারতে তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রসঙ্গে গুলেরিয়া বলেন, হাম বা চিকেন পক্সের ক্ষেত্রে আর ভ্যালু প্রায় ৮। অর্থাৎ এক জনের থেকে আট জনের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় দেখেছি এক জনের থেকে পুরো পরিবারকে আক্রান্ত হতে। চিকেন পক্সের ক্ষেত্রেও এটাই হয়। ডেল্টা রূপে আক্রান্ত এক জনের পক্ষে গোটা পরিবারকে আক্রান্ত করার ক্ষমতা রয়েছে।ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে সেরো সার্ভেতে দেখা গিয়েছে অ্যান্টিবডির পরিমাণ অনেকটাই। তবে এই বিষয় নিয়ে বেশি খুশি হওয়ার কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন গুলেরিয়া। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি আগে কেরলে অ্যান্টিবডি অনেক বেশি ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেখানে সংক্রমণ বাড়ছে। কারণ একটা সময়ের পরে শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ ও ক্ষমতা দুইই কমতে থাকে। ফলে একমাত্র টিকাই ভরসা। যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে টিকা দেওয়া দরকার। তবেই দেশে সংক্রমণ কমানো যাবে বলে মনে করেন এইমস প্রধান।

আগস্ট ০১, ২০২১
দেশ

Coronavirus: ২৪ ঘণ্টায় দেশে বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশে আছড়ে পড়ার পর থেকেই নতুন করে বেড়েছিল উদ্বেগ। চলতি বছর মার্চ থেকে হু হু করে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। ভোলবদলে আরও প্রাণঘাতী হয়ে ওঠা ভাইরাসের জেরে বৃদ্ধি পায় মৃত্যুর হারও। তবে লকডাউন ও কড়া বিধিনিষেধের জেরে বর্তমানে অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে দেশের কোভিড সংক্রমণ। এক সময় দেশে যেখানে দৈনিক আক্রান্ত ৪ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছিল, সেখানে এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজারে। তবে এখনও চিন্তায় রাখছে দৈনিক মৃতের সংখ্যা।বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬২ হাজার ২২৪ জন করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও সংখ্যাটা গতকালের তুলনায় সামান্য বেশি। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ। এর মধ্যে অবশ্য চলতি বছরই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ফের যাতে সংক্রমণ না বাড়ে, তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র এবং সমস্ত রাজ্য। দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২ কোটি ৯৬ লক্ষ ৩৩ হাজার ১০৫। একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫৪২ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫৭৩ জন।তবে মানুষ নতুন করে গৃহবন্দি হওয়ায় ধীরে ধীরে কমছে অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনার চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে হল ৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৩২ জন। সেই সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৭ হাজার ৬২৮ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৮৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ১০০ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।

জুন ১৬, ২০২১
দেশ

পরপর দু’দিন কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ

করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্য কোমর বেঁধে নামতেই মিলল ইতিবাচক ফল। একদিকে যেমন টিকাকরণের গতি বেড়েছে, তেমনই একাধিক শহর হেঁটেছে পূর্ণ ও আংশিক লকডাউনের পথে। সমস্ত কোভিড প্রোটোকল মানার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি চলছে। যার ফল মিলল পরিসংখ্যানে। পরপর দুদিন দেশে সংক্রমণ নিম্নমুখী। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠলেন তিন লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ।মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ২২৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে মহারাষ্ট্রেও। তবে জুলাই ও অগস্টে সে রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও উদ্ধব সরকার জানিয়ে দিয়েছে, সমস্ত পরিস্থিতির জন্য তারা তৈরি। গোটা দেশে মোট করোনা আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৩৩-এ। এদিকে একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৩,৪৪৯ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ২ লক্ষ ২২ হাজার ৪০৮ জন। তবে চিন্তায় রাখছে অ্যাকটিভ কেস। বর্তমানে করোনার চিকিৎসাধীন ৩৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ১৩৩ জন।পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ২০ হাজার ২৮৯ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৬৬ লক্ষ ১৩ হাজার ২৯২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। টিকা পেয়েছেন ১৫ কোটি ৮৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ। দেশজুড়ে করোনার নয়া তাণ্ডব রুখতে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। তবে টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। আইসি্এমআর-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ৭৪২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

মে ০৪, ২০২১
দেশ

দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরোল ৪ লক্ষ

বিশ্বে প্রথম। ভারতের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গেল ৪ লক্ষের গণ্ডি। পরপর ৯ দিন আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষের বেশি থাকার পর শনিবার নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলল ভারত। এর আগে বিশ্বের কোনও দেশে দৈনিক সংক্রমণ চার লক্ষের ধারেকাছেও যায়নি। আক্রান্তের এই রেকর্ড বৃদ্ধি কাঁপুনি ধরাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। তবে স্বস্তির খবর, আক্রান্তের রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি সুস্থতার হারেও রেকর্ড গড়ছে দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থও হয়েছেন প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ।শনিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ লক্ষ ১ হাজার ৯৯৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ১৬ হাজার বেশি। আপাতত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯৬৯ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ১১ হাজার ৮৫৩ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৫২৩ জনের। এই সংখ্যাটাও আগের দিনের থেকে অনেকটা বেশি। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় এই প্রথম মৃত্যু সাড়ে ৩ হাজার পেরল।স্বস্তির খবর হল, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৯৮ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের থেকে অনেক কম হলেও এযাবৎকালের রেকর্ড। আপাতত দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস বেড়ে দাঁড়াল ৩২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭১০ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০৬ জন। প্রসঙ্গত, করোনা রুখতে আজ থেকেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হচ্ছে গণটিকাকরণ। শুক্রবারের হিসেব অনুযায়ী টিকা নেওয়ার জন্য ১৮ থেকে ৪৪ বছরের প্রায় ২ কোটি ৪৫ লক্ষ মানুষ ভ্যাকসিন পাওয়ার আশায় নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। তবে, কয়েকটি রাজ্যে টিকার অপ্রতুলতার জন্য টিকাকরণ শুরু করা যায়নি। তবে, এখনও পর্যন্ত দেশে টিকা পেয়েছেন মোট ১৫ কোটি ৪৯ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬৩৫ জন।

মে ০১, ২০২১
দেশ

২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি প্রায় সাড়ে তিন হাজার

রূপ বদলে আরও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে করোনা ভাইরাস। মাত্র মাস খানেকের ব্যবধানেই দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ থেকে বেড়ে ৪ লক্ষের দোরগোড়ায় এসে হাজির। তারই মধ্যে ভ্যাকসিন, ওষুধ, অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে নাজেহাল অবস্থা কেন্দ্রর। সব মিলিয়ে গত বছরের থেকেও ভয়ংকর অবস্থার সাক্ষী দেশবাসী। গত কয়েকদিনের মতো শুক্রবারও লাগামছাড়া সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ল মৃতের সংখ্যা। আর বাড়তে থাকা অ্যাকটিভ কেস বুঝিয়ে দিল, কেন চতুর্দিকে অক্সিজেন এবং বেডের অভাব।এদিন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর বেশিরভাগটাই যে মহারাষ্ট্রে, তা বলাই বাহুল্য। জুলাই ও গস্টে সেখানে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন বিশেষজ্ঞরা। একইভাবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজধানী দিল্লিও। লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে। দেশে মোট করোনা আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল ১ কোটি ৮৭ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৭৬-এ। এদিকে একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারালেন ৩,৪৯৮ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ২ লক্ষ ৮ হাজার ৩৩০ জন। লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ কেসও। বর্তমানে করোনার চিকিৎসাধীন ৩১ লক্ষ ৭০ হাজার ২২৮ জন।পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫৪০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪১৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। টিকা পেয়েছেন ১৫ কোটি ২২ লক্ষেরও বেশি মানুষ। দেশজুড়ে করোনার নয়া তাণ্ডব রুখতে টিকাকরণের গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ১ মে থেকে আবার ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেককে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। আইসিএমআর-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৯ লক্ষ ২০ হাজার ১০৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তবে শুধু বাড়তে থাকা সংক্রমণই নয়, চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেনও।

এপ্রিল ৩০, ২০২১
কলকাতা

কলকাতায় ৪ দিন বন্ধ অনাবশ্যক পণ্যসামগ্রীর বাজার

লকডাউন নয়। তবে করোনা সংক্রমণের চেন ভাঙার জন্য বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কনফেডারেশন অফ ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন। জানিয়ে দেওয়া হল, কলকাতার যে এলাকাগুলির বাজারে সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়, চারদিনের জন্য সেই সমস্ত বাজার বন্ধ রাখা হবে। অর্থাৎ আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগামী রবিবার পর্যন্ত একাধিক এলাকার সমস্ত বাজার বন্ধ থাকবে।সংক্রমণ রুখতে লকডাউনকে শেষ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানিয়েছিলেন, কনটেনমেন্ট জোনে কড়াকড়ি-সহ করোনা মোকাবিলায় নানা বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে। আর এবার একজনের থেকে অন্যজনের মধ্যে সংক্রমণের এই চেন ভাঙতে অনাবশ্যক পণ্যের বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বলা হয়েছে, চাঁদনি চক, এগরা স্ট্রিট, ম্যাঙ্গো লেন, প্রিন্সেপ স্ট্রিট, চৌরঙ্গি, ক্যানিং স্ট্রিট, বড়বাজার-সহ যে সমস্ত এলাকায় প্রতিদিনই রাজ্যের নানা জায়গা থেকে ক্রেতারা এসে ভিড় জমান, সেই বাজারগুলি বন্ধ থাকবে রবিবার পর্যন্ত। পোস্তা এবং অন্যান্য কিছু বাজার আগের মতোই খোলা থাকবে।সিডব্লুবিটিএ-র সভাপতি সুশীল পোদ্দার বলেন, আমাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সব ব্যবসায়ীকে আমরা অনুরোধ করেছিলাম, যাতে বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত তাঁরা বাজার বন্ধ রাখেন। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতেই এই সিদ্ধান্ত। সঙ্গে এও পরিষ্কার করে দিয়েছেন, বৃহস্পতিবার এমনিতেই কলকাতার ৭টি আসনে আজ ভোট। ফলে বাজার বন্ধই থাকবে। আর সাধারণ নিয়মে শনি ও রবিবার এই সব বাজারগুলি বন্ধই থাকে। অর্থাৎ হিসেব মতো শুক্রবারই অতিরিক্ত একটি দিন বন্ধ রাখা হবে দোকানপাট।সিডব্লুবিটিএ-র সচিব রাজেশ ভাটিয়া জানিয়েছেন, করোনার চোখ রাঙানির মধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতা-সহ সকলের সুরক্ষার জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাজার খোলা রাখতে। শনি ও রবিবার বন্ধ থাকবে বাজার। যতটা সম্ভব যেন বাড়ি থেকেই কাজ করেন কর্মীরা। এছাড়া মাস্ক পরা, স্যানিটাইজারের ব্যবহার তো বাধ্যতামূলক।

এপ্রিল ২৯, ২০২১
দেশ

এলাকাভিত্তিক লকডাউনের ইঙ্গিত কেন্দ্রের

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিধ্বস্ত দেশ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। গত কয়েকদিনের ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে কোভিড মোকাবিলায় কড়া হওয়ার বার্তা দিল কেন্দ্র। স্থানীয় কনটেনমেন্ট জোন গড়ার নির্দেশের মধ্যে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের ইঙ্গিত।রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে সব অঞ্চলে সংক্রমণের হার অত্যন্ত বেশি, সেগুলিকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে। বিশেষ নজর দিতে হবে যাতে সেখানে সংক্রমণের হার আর না বাড়তে পারে। এক্ষেত্রে জেলা/ শহর/ অঞ্চলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দুটি শর্তের কথা বলা হয়েছে।এই দুটি শর্তের একটি হল ১ সপ্তাহের মধ্যে যদি কোভিড পরীক্ষায় ১০ শতাংশ বা তার বেশি মানুষ সংক্রমিত হন। অন্যটি হল যদি হাসপাতালগুলিতে ৬০ শতাংশের বেশি রোগী অক্সিজেন সাপোর্টে কিংবা আইসিইউয়ে চিকিৎসাধীন থাকেন। এই শর্তগুলির যে কোনও একটাও যদি পূরণ হতে দেখা যায়, তাহলে সেই জেলাগুলিতে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। স্থানীয় কনটেনমেন্ট জোনের কথা ভাবতে হবে। যে সমস্ত অঞ্চলে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে, সেখানে ১৪ দিনের জন্য কড়া নজরদারি চালাতে হবে যাতে সংক্রমণের শৃঙ্খলকে ভাঙা যায়। ওই সব অঞ্চলে বেশি সংখ্যক মানুষের জমায়েত ইত্যাদি বিষয়ে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। ওই সব এলাকার পরিস্থিতি প্রতি সপ্তাহের ভিত্তিতে নজরে রাখতে হবে। এবং সম্ভব হলে অনলাইনে সেই পরিসংখ্যান জানাতে হবে।

এপ্রিল ২৬, ২০২১
দেশ

রাজধানীতে লকডাউন বাড়ল আরও এক সপ্তাহ

সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণই নেই, তাই আরও এক সপ্তাহ বাড়ল দিল্লির লকডাউন। আজ এক ভিডিও বার্তায় একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।সব দিক পর্যালোচনা করেই লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।দিল্লিতে ক্রমশ বাড়ছে করোনা। সেই সঙ্গে অক্সিজেন ও হাসপাতালে শয্যা সংকটও চলছে। এই পরিস্থিতিতে আরও এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে দিল্লি সরকার, এমনটাই জানা গিয়েছিল। রবিবার দুপুরে সেই জল্পনাকে সত্যি করেই লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লির জন্য দৈনিক অক্সিজেন সরবরাহ ৪৮০ মেট্রিক টন থেকে বাড়িয়ে ৪৯০ মেট্রিক টন করেছে।দিল্লিতে প্রতিদিন ৭০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। শনিবার দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতালের তরফে জানা যায়, সেখানে অক্সিজেনের অভাবে ২৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। উৎপাদন কেন্দ্রগুলি থেকে কতটা অক্সিজেন হাসপাতালগুলিতে সরবরাহ করা হচ্ছে তার রেকর্ড রাখার একটি পোর্টাল তৈরি করছে দিল্লি সরকার। সেই পোর্টালে অক্সিজেনে সরবরাহের স্থিতি প্রতি ২ ঘণ্টায় আপডেট করা হবে। উৎপাদন কেন্দ্রগুলি থেকে কতটা অক্সিজেন হাসপাতালগুলিতে সরবরাহ করা হচ্ছে তার রেকর্ড রাখার একটি পোর্টাল তৈরি করছে দিল্লি সরকার। সেই পোর্টালে অক্সিজেনে সরবরাহের স্থিতি প্রতি ২ ঘণ্টায় আপডেট করা হবে।দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩৫৭ জনের, যা একদিনে সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে গতকাল দিল্লির ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির তরফেও জানানো হয় যে তাঁরা আরও দীর্ঘ লকডাউন চান।

এপ্রিল ২৫, ২০২১
দেশ

করোনা সংক্রমণে বিশ্বরেকর্ড ভারতের

দৈনিক করোনা সংক্রমণে বিশ্বের সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দিল ভারত। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লাগাতার বাড়ছিল করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার তা যেন মাত্র ছাড়িয়ে গেল। বিশ্বের সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে একদিনে করোনা আক্রান্ত হলেন প্রায় ৩ লক্ষ ১৫ হাজার মানুষ। এর আগে গতবছর ১৭ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় একদিনে ৩ লক্ষ ৭ হাজার মানুষ করোনার কবলে পড়েছিলেন। সেই রেকর্ডও এদিন ভেঙে দিল ভারত। আক্রান্তের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাটাও বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে।বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৩৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ১৮ হাজার বেশি। এই সংখ্যাটা দেশের তো বটেই গোটা বিশ্বের সর্বকালের সর্বোচ্চ। আপাতত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৯ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৬৫ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৮০ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ১০৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৪১ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের প্রায় অর্ধেক। যার ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ২২ লক্ষ ৯১ হাজার ৪২৮ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৮০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকা পেয়েছেন ১৩ কোটি ২৩ লক্ষ ৩০ হাজার ৬৪৪ জন সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই দেশের বহু রাজ্য কার্ফু এবং লকডাউনের পথে হেঁটেছে। যে তালিকায় সাম্প্রতিকতম সংযোজন মহারাষ্ট্র। আজ থেকেই মরাঠাভূমে শুরু হচ্ছে কঠোর কার্ফু। ঝাড়খণ্ডেও আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৭ দিনের কার্ফু।

এপ্রিল ২২, ২০২১
রাজ্য

একদিনে রাজ্যে আক্রান্ত ১০ হাজার ৭৮৪ জন

ভয়াবহ রূপ নিয়ে আছড়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে একদিনে বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরোল ১০ হাজার। রেকর্ড গড়ল গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যাও। সবমিলিয়ে ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের আগে ভয়াবহ আকার নিল রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি।বুধবার স্বাস্থ্যদপ্তরের সন্ধের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৭৮৪ জন। ফলে বাংলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৬ লক্ষ ৮৮ হাজার ৯৫৬ জন। লাফিয়ে বাড়ছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। আজকের রিপোর্ট বলছে, বাংলায় এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৩ হাজার ৪৯৬ জন। যা মঙ্গলবারের তুলনায় ৫ হাজার ১১০ জন বেশি। এদিনের সরকারি হিসেব বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক সংক্রমিতের হদিশ মিলেছে কলকাতায় (২ হাজার ৫৬৮)। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (২ হাজার ১৪৯)। চিন্তা বাড়াচ্ছে বাকি জেলাগুলিও। উদ্বেগ বাড়িয়েছে নিম্নমুখী সুস্থতার হারও। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৬১৬ জন। ফলে সুস্থতার হার কমে দাঁড়াল ৮৯.২৩ শতাংশ। বুধবার সুস্থতার শতকরা হার ছিল ৮৯.৮২ শতাংশ। ইতিমধ্যে রাজ্যে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৬ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৫০ জন।চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায় (১৪)। এর ঠিক পরেই রয়েছে কলকাতা (১৩)। বাকিরা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমান ও দুই মেদিনীপুরের বাসিন্দা। এদিন রাজ্যের মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ হাজার ৭১০। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি।

এপ্রিল ২১, ২০২১
দেশ

ফের রেকর্ড সংক্রমণ দেশে, একদিনে মৃত্যু ১ হাজার ৬১৯ জনের

ভয়াবহতার সব মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে করোনা। এতদিন রেকর্ড হারে বাড়ছিল শুধু আক্রান্তের সংখ্যা। এবার শুরু হল মৃত্যু মিছিলও। সোমবার সকালেও দেশে রেকর্ড ভেঙে প্রায় পৌনে তিন লক্ষ মানুষ করোনার কবলে পড়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১,৬০০-র বেশি মানুষের। যে হারে দেশের পজিটিভিটি রেট এবং অ্যাকটিভ কেস বাড়ছে, তাতে খুব দ্রুত ভেঙে পড়তে পারে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি। খুন স্বস্তিতে নেই রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, বিহার, বাংলাও।সোমবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮১০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ১৩ হাজার বেশি। এই সংখ্যাটা দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ। আপাতত দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫০ লক্ষ ৬১ হাজার ৯১৯ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৬৯ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬১৯ জনের। যা সাম্প্রতিক অতীতে সর্বোচ্চ।গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৭৮ জন। যা দৈনিক আক্রান্তের প্রায় অর্ধেক। যার ফলে দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৩২৯ জন। এই নিয়ে পরপর চারদিন দেশে দৈনিক অ্যাকটিক কেস বাড়ল এক লক্ষের বেশি। দেশে এখনও পর্যন্ত সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ২৯ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮২১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকা পেয়েছেন ১২ কোটি ৩৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৫৬৬ জন।

এপ্রিল ১৯, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal